সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভগবান কৃষ্ণ বাণী ,কর্মই সবচেয়ে বড় ধৰ্ম (কর্ম করে যাও, ফলের আশা করো না )




আমরা প্রত্যেকেই বেঁচে থাকার জন্য কর্ম করে থাকি ।মানুষ বলে না প্রকৃতির সকল বস্তুই নিজের কর্ম করে যাচ্ছে ।সূর্য তার আলো দিয়ে প্রকৃতি কে আলোকিত করে রাখে ,গাছ তার শীতল বাতাস দিয়ে মানুষ এবং জীব জন্তু কে বাঁচিয়ে রাখে ।

আমরা কখনো নিজের কর্ম থেকে পাওয়ার আসা বেশি করে নেই ,ভগবান কৃষ্ণ বলেছিলেন "কর্ম করে যাও ,ফলের আসা করো না,তুমি তুমার কর্মর কথা চিন্তা করো না  " অর্জুন যখন কৌরবদের সাথে যুদ্দ করতে চাইছিলেন না ,তখন ভগবান কৃষ্ণ অর্জুন কে বলেছিলেন ,হে অর্জুন তুমি একজন ক্ষত্রিয়


তুমার কর্ম যুদ্দ করা ,তুমি পরিণতির চিন্তা করো না, তুমি যুদ্দ করো ।সেই ভাবে আমাদেরকে ও ফলের চিন্তা না করে কর্ম করে যাওয়া ।নিজের কর্ম কে নিষ্টা ও নিস্বার্থ  সহকারে করে যাওয়া উচিত । যদিও কর্মে সফল নাও হওয়া যাই জ্ঞান তো পাওয়া যাবে ।


একটি গ্রামে দুই বন্দু ছিল একজনের নাম ছিল প্রতাপ আর আরেকজনের নাম ছিল শ্যাম ।
দুজন খুব ভালো বন্দু ছিল ,দুজন গ্রামে নতুন বেবসা শুরু করলো ,প্রতাপ চা ,মিষ্টি ,সন্দেশ,এর দুকান খুললো আর শ্যাম ফলের  দুকান খুললো ।

প্রথম দিন শ্যামের দুকানে দশ  জন গ্রাহক আসলো ফল কিনে নিয়ে গেলো ,এদিকে প্রতাপের দুকানে মাত্র দুই জন গ্রাহক এসে চা মিষ্টি খেয়ে গেলো ,তার পরদিন শ্যামের দুকানে সতেরো জন আর প্রতাপ  এর দুকানে মাত্র  পাঁচ জন গ্রাহক হলো 


,শ্যাম অনেক খুশি যে দিন দিন তার গ্রাহক বেড়েই চলছে,কিন্তু প্রতাপের দুকানে সেই ভাবে গ্রাহক আসছিলো না ।

এই ভাবে ওদের বেবসা শুরু করার সাত মাস হয়ে গেলো ,শ্যামের বেবসা ভালোই চলছিল কিন্তু প্রতাপ এর এতো ভালো চলছিল না ।প্রতাপ তাতে নিরাশ  হয় নি সে তার মিষ্টি ,সন্দেশ কে  আরো ভালো কোয়ালিটি তে বানানো  শুরু করলো ।এই ভাবে এক বছর চলে গেলো 


। ধীরে ধীরে তখন প্রতাপের দুকানে গ্রাহক বাড়তে শুরু করলো ,প্রতাপের দোকানের মিষ্টির প্রশংসা শুরু হলো ,গ্রামের লোক শহর থেকে মিষ্টি আনা বন্দ করে দিলো ,গ্রামে পুজো হোক ,অনুষ্ঠান হোক সবাই প্রতাপের দুকান থেকে মিষ্টি নিয়ে যায় ,এইভাবে প্রতাপের মিষ্টির দোকানের কথা আরো চার ,পাঁচ গ্রামে ছড়িয়ে পরে ।ধীরে ধীরে প্রতাপ একটি মিষ্টির বিশাল দোকানের মালিক হয়ে যায় ।


আমাদের জীবনে নিজের কর্ম কে নিষ্টা সহকারে করা উচিত ,যদিও কাজের মাজে বিফলতা আসে ,তখন নিরাশ না হয়ে ,আরো দৃঢ়তা ,আত্মবিশ্বাস সহকারে কর্ম করে যাওয়া ।


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রেরণার গল্প , কৃষকের অলস তিন ছেলে |Motivational Story in Bengali ,Farmer's lazy three sons

একটি গ্রামে এক কৃষক ছিল । সে মধ্যবিত্ত ছিল ,মধ্যবিত্তি হলেও সে অনেক প্ররিশ্রমী ছিল । সে প্ররিশ্রম করতে ভালোবাস্তো ।ঘরে বসে থাকতে চাইতো না । অলসভাবে বসে থাকতে সে ঘৃণা করতো । কৃষকের স্ত্রী - সেও খুব পরিশ্রমী । দিনরাত স্বামীর সংগে সে পরিশ্রম করে । এমন করে দিন যায় । কৃষকের তিন পুত্র । কিন্তু তিনটি পুত্র হলো খুব অলস । খায় - দায় ,গল্প করে ,গান গায় ঘুরে বেড়ায় - কারও কাজে মন নেই এতটুকু । কৃষক তাদের কাজ শেখালো । কি করে মাটি কুপাতে হয় ,মোই দিতে দিতে হয় , চাষ করতে হয় , বীজ বুনতে হয় ,সব শিখলো তারা । কিন্তু কেউ কাজ করতো না । তারা জানতো সব, কিন্তু করতো না কিছু । গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াতে তারা খুব ভালোবাসে । একদিন কৃষক গিন্নি কৃষকে বললো - শুনছ  গো ?- কি বলছো ? দেখছো ছেলেদের কান্ড ? হ্যাঁ ।  ছেলেরা ওরকম কুরে হলে তো দুদিনে বসে খেয়ে সব উড়িয়ে দেবে । তারপর কি হবে ? কৃষক চুপ করে রইলো । কিছুক্ষণ পরে শুধু একটু হেসে বললো - ঠিক সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে । এমন হবে দিন যায় । কৃষক গিন্নি স্বামীর কোথায় চুপ করে থাকে ।  দেখতে দেখতে কৃষক বৃদ্ধ হয়ে পড়লো । তখন সে একদিন স্ত্রীকে ডেকে বললো -...

অনুপ্রেরণামূলক গল্প গৌতম বুদ্ধ Inspirational Story Gautam Buddha

একবার গৌতম বুদ্ধ ,বুদ্ধ ধর্মের শিক্ষা প্রচারের জন্য গ্রাম গ্রাম শহর শহর নিজের শিষ্য দেড় নিয়ে ঘুরছিলেন ,পুরোদিন ঘুরতে ঘুরতে গৌতম বুদ্ধের জল পিপাসা পেয়ে গেলো ,জল পিপাসা এতই বেড়ে গেলো যে তিনি আর সহ্য করতে পড়তে ছিলেন না । তাই তিনি তার একজন শিষ্য কে ডেকে বললেন যে তার অনেক পিপাসা পেয়েছে তাই তার জন্য জল আনার জন্য । শিষ্য গুরুর আদেশে জল আনার জন্য গ্রামের ভিতরে গেলো ,গ্রামের মধ্যে দিয়ে একটি নদী বইছিল । কিন্তু সেই নদীতে গ্রামের সবাই কাপড় ধুইছিলো ,কেউ গরু ,মহিষ কে স্নান করাচ্ছিল ,তাই নদীর জল অপরিস্খার ছিল ,তাই শিষ্য চিন্তা করলো এই জল তো অপররিস্খার তার গুরুদেবের জন্য এই  অপরিস্খার জল নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না ,তাই শিষ্য জল না নিয়ে খালি হাতে চলে গেলো ,গৌতম বুদ্ধা যখন শিষ্য কে খালি হাথে চলে আসতে দেখেন তখন খালি হাতে আসার কারণ জিগ্গেস করেন ,তখন শিষ্য পুরো কাহিনী বলেন ।  এইদিকে গুরুদেবের পিপাসাতে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ,গৌতম বুদ্ধা তখন আরেকজন শিষ্যকে জল আনার জন্য বলেন তখন সেই শিষ্য একটি   মাটির পাত্রতে পরিস্খার জল নিয়ে আসে ,তা দেখে গৌতম বুদ্ধা অভাক হয়ে গেলেন এবং এব...

গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণার কাহিনী । জীবন বদলে দেবে এই কাহিনী

  এক গরিব দুঃখী বেক্তির জীবন পরিবর্তনের কাহিনী ।.   আমরা জীবনে এই নিয়ে দুঃখিত থাকি যে  ইহার কারণ কি ?আমরা সবাই এটাই সবসময় মনে করে থাকি ,আমি  অন্যদের থেকে অনেক দুঃখিত ,অনেক কষ্ট করছি ,জীবনে কষ্ট সবচেয়ে বেশি আমার । অন্যরা আমার থেকে অনেক সুখে আছে ,শান্তিতে আছে , কিন্তু আমাদের এই চিন্তা ভুল । ভগবান আমাদের জন্মের সাথে সাথে জীবনে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন । ভগবান গৌতম বুদ্বের এই গল্প থেকে বুজতে পারবো । গৌতম বুদ্ধ  একবার  তার শিষ্যদের সাথে একটি গ্রামে গিয়েছিলেন । সেই গ্রামের লোকেরা তাদের সমষ্যা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের কাছে যেত এবং তাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফায়ার যেত । ওই গ্রামের রাস্তার ধরে একটি লোক বসে থাকতো এবং গৌতম বুদ্বের কাছে আসা প্রতিটি লোককে খুব মনোযোগ সহকারে  লক্ষ্য  করতো , সে এটা দেখে খুব অবাক হতো যে লোকতো  আসে অনেক মন খারাপ নিয়ে , কিন্তু যখন তারা গৌতম বুদ্ধের দর্শন করে ফিরত তারা অনেক খুশি থাকত , এবং মুখে থাকতো একটা হাসি ।  তাই গরিব ব্যক্তিটি মনে মনে ভাবলো যদি আমিও আমার সমস্যার কথা গৌত...