সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ভগবান শ্রী কৃষ্ণা বাণী , সর্বদা ভালো চিন্তা ভাব মনে রাখা ,এটাই জীবনের উন্নতির পথ ,Always remember to think well, this is the way to improve life





ভগবান শ্রী কৃষ্ণা বাণী , সর্বদা ভালো চিন্তা ভাব মনে রাখা ,এটাই জীবনের উন্নতির পথ ,Always remember to think well, this is the way to improve life


আমাদের মন কখনো  স্থির থাকে না ,আমরা পুরো দিনে হাজার কথা চিন্তা ভাবনা করে থাকি ,হাজার হাজার কথা বার্তা বলে থাকি ,কিন্তু কখনো আমরা চিন্তা করে দেখেছি যে আমরা এই হাজার হাজার কথা বার্তার ভিতরে আমরা কয়টা কথা ভালো চিন্তা ভাবনার করে বলেছি ,আর কয়টা কথা খারাব মনোভাব নিয়ে বলেছি ।

 সত্যি ,যদি আমরা আমাদের মস্তিস্ক  এবং মনকে ভালো চিন্তা ভাবনার কাজে লাগানো যায় সফলতা নিশ্চয় আসবে,আমাদের মন অনেক শক্তিশালী ,আমরা জীবনে যা চিন্তা ভাবনা করি ,আমাদের জীবন সেই পথে চলতে শুরু করে । তাই আমাদের সর্বদা ভালো চিন্তা ভাবনা করা উচিত ,যাতে আমাদের জীবন এবং ভবিষৎ সুন্দর ও ভালো হয়ে উঠে ।

                          এই তথ্য আমাদের হিন্দু গ্রন্থ তে বলা হয়েছে ,মনকে সর্বদা পবিত্র ও ভালো চিন্তা ভাবনার মাধম্মে রাখা উচিত । আর এই তথ্য বিজ্ঞান ও প্রমান করেছে ।
 আমাদের প্রাকৃতি সাকারাত্মক (Positive) এবং নাকারাত্মক ( Negative) শক্তি ছড়িয়ে আছে ,যখন নি আমরা কোনো ভালো চিন্তা ভাবনা করি ,তখনি প্রকৃতির সাকারাত্মক শক্তি আমাদের সাথে জড়িয়ে যায় ,আর আমাদের কে ভালো কাজ করার জন্য অনুপ্রাণিত করে তুলে ,



আর এটা সত্যি উদাহরণ দিয়ে বলতে গেলে ভগবান গৌতম বুদ্ধ ,স্বামী বিকেকানন্দ ,যারা নিজের ভালো চিন্তা ভাবনার নিয়ে সাধনার মাধ্যম দিয়ে নিজের জীবন কে ,এই সমাজ ,ও বিশ্বের মঙ্গলের কাজে লাগিয়েছিলেন ।
             আর যখনি আমরা কোনো খারাপ মনো ভাব নিয়ে কাজ করি তখনি নাকারাত্মক শক্তি আমাদের সাথে জড়িয়ে যায় আর আমাদের খারাপ কাজের জন্য অনুপ্রারিত করে তুলে ,উদাহরণ স্বরূপ ,মারপিট করা ,গালি গালাজ করা ।


একবার একটি কৃষকের ধান খেতে এসে একটি গরু প্রায় দিন  কৃষকের ধান গাছ খেয়ে যেত ,এতে কৃষকের মনে মনে খুব রাগ হলো আর চিন্তা করতে থাকলো কি ভাবে গরু তাকে শিক্ষা দেয়া যায় ,তাই পরেরদিন কৃষক তার ধান ক্ষেতের কিনারে লুকিয়ে থাকলো একটা লাঠি নিয়ে আর গরুটার আসার অপেক্ষা করতে লাগলো ,যখনি গরুটা আসলো সে সেই লাঠি তা দিয়ে গরুকে মারতে শুরু করলো ,

আর একেই ঘটনা আরেকটি কৃষকের সাথে সাথে হলো ,কিন্তু সে কৃষক গরুটাকে মারপিট্ করলো না ,কৃষিক গরুর মালিক কে খুঁজে বের করলো আর তার গরু প্রতিদিন গিয়ে যে তার ধান খেয়ে আসে তার কথা বললো ,তখন সে গরুর মালিক গরু তাকে বাসার মদ্দে  বেঁধে রাখলো ,আর বাসাতেই গরুটাকে খাবার বেবস্তা করে দিলো 

    আমাদের সবসমই ভালো চিন্তা ভাবনার মাদ্দমে জীবন কে সুন্দর ,সুখময় করে তুলে উচিত ।
       

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রেরণার গল্প , কৃষকের অলস তিন ছেলে |Motivational Story in Bengali ,Farmer's lazy three sons

একটি গ্রামে এক কৃষক ছিল । সে মধ্যবিত্ত ছিল ,মধ্যবিত্তি হলেও সে অনেক প্ররিশ্রমী ছিল । সে প্ররিশ্রম করতে ভালোবাস্তো ।ঘরে বসে থাকতে চাইতো না । অলসভাবে বসে থাকতে সে ঘৃণা করতো । কৃষকের স্ত্রী - সেও খুব পরিশ্রমী । দিনরাত স্বামীর সংগে সে পরিশ্রম করে । এমন করে দিন যায় । কৃষকের তিন পুত্র । কিন্তু তিনটি পুত্র হলো খুব অলস । খায় - দায় ,গল্প করে ,গান গায় ঘুরে বেড়ায় - কারও কাজে মন নেই এতটুকু । কৃষক তাদের কাজ শেখালো । কি করে মাটি কুপাতে হয় ,মোই দিতে দিতে হয় , চাষ করতে হয় , বীজ বুনতে হয় ,সব শিখলো তারা । কিন্তু কেউ কাজ করতো না । তারা জানতো সব, কিন্তু করতো না কিছু । গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াতে তারা খুব ভালোবাসে । একদিন কৃষক গিন্নি কৃষকে বললো - শুনছ  গো ?- কি বলছো ? দেখছো ছেলেদের কান্ড ? হ্যাঁ ।  ছেলেরা ওরকম কুরে হলে তো দুদিনে বসে খেয়ে সব উড়িয়ে দেবে । তারপর কি হবে ? কৃষক চুপ করে রইলো । কিছুক্ষণ পরে শুধু একটু হেসে বললো - ঠিক সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে । এমন হবে দিন যায় । কৃষক গিন্নি স্বামীর কোথায় চুপ করে থাকে ।  দেখতে দেখতে কৃষক বৃদ্ধ হয়ে পড়লো । তখন সে একদিন স্ত্রীকে ডেকে বললো -...

অনুপ্রেরণামূলক গল্প গৌতম বুদ্ধ Inspirational Story Gautam Buddha

একবার গৌতম বুদ্ধ ,বুদ্ধ ধর্মের শিক্ষা প্রচারের জন্য গ্রাম গ্রাম শহর শহর নিজের শিষ্য দেড় নিয়ে ঘুরছিলেন ,পুরোদিন ঘুরতে ঘুরতে গৌতম বুদ্ধের জল পিপাসা পেয়ে গেলো ,জল পিপাসা এতই বেড়ে গেলো যে তিনি আর সহ্য করতে পড়তে ছিলেন না । তাই তিনি তার একজন শিষ্য কে ডেকে বললেন যে তার অনেক পিপাসা পেয়েছে তাই তার জন্য জল আনার জন্য । শিষ্য গুরুর আদেশে জল আনার জন্য গ্রামের ভিতরে গেলো ,গ্রামের মধ্যে দিয়ে একটি নদী বইছিল । কিন্তু সেই নদীতে গ্রামের সবাই কাপড় ধুইছিলো ,কেউ গরু ,মহিষ কে স্নান করাচ্ছিল ,তাই নদীর জল অপরিস্খার ছিল ,তাই শিষ্য চিন্তা করলো এই জল তো অপররিস্খার তার গুরুদেবের জন্য এই  অপরিস্খার জল নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না ,তাই শিষ্য জল না নিয়ে খালি হাতে চলে গেলো ,গৌতম বুদ্ধা যখন শিষ্য কে খালি হাথে চলে আসতে দেখেন তখন খালি হাতে আসার কারণ জিগ্গেস করেন ,তখন শিষ্য পুরো কাহিনী বলেন ।  এইদিকে গুরুদেবের পিপাসাতে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ,গৌতম বুদ্ধা তখন আরেকজন শিষ্যকে জল আনার জন্য বলেন তখন সেই শিষ্য একটি   মাটির পাত্রতে পরিস্খার জল নিয়ে আসে ,তা দেখে গৌতম বুদ্ধা অভাক হয়ে গেলেন এবং এব...

গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণার কাহিনী । জীবন বদলে দেবে এই কাহিনী

  এক গরিব দুঃখী বেক্তির জীবন পরিবর্তনের কাহিনী ।.   আমরা জীবনে এই নিয়ে দুঃখিত থাকি যে  ইহার কারণ কি ?আমরা সবাই এটাই সবসময় মনে করে থাকি ,আমি  অন্যদের থেকে অনেক দুঃখিত ,অনেক কষ্ট করছি ,জীবনে কষ্ট সবচেয়ে বেশি আমার । অন্যরা আমার থেকে অনেক সুখে আছে ,শান্তিতে আছে , কিন্তু আমাদের এই চিন্তা ভুল । ভগবান আমাদের জন্মের সাথে সাথে জীবনে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন । ভগবান গৌতম বুদ্বের এই গল্প থেকে বুজতে পারবো । গৌতম বুদ্ধ  একবার  তার শিষ্যদের সাথে একটি গ্রামে গিয়েছিলেন । সেই গ্রামের লোকেরা তাদের সমষ্যা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের কাছে যেত এবং তাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফায়ার যেত । ওই গ্রামের রাস্তার ধরে একটি লোক বসে থাকতো এবং গৌতম বুদ্বের কাছে আসা প্রতিটি লোককে খুব মনোযোগ সহকারে  লক্ষ্য  করতো , সে এটা দেখে খুব অবাক হতো যে লোকতো  আসে অনেক মন খারাপ নিয়ে , কিন্তু যখন তারা গৌতম বুদ্ধের দর্শন করে ফিরত তারা অনেক খুশি থাকত , এবং মুখে থাকতো একটা হাসি ।  তাই গরিব ব্যক্তিটি মনে মনে ভাবলো যদি আমিও আমার সমস্যার কথা গৌত...