সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অনুপ্রেরণার বাণী ভগবান কৃষ্ণ বাংলা | Motivational quotes Bhagawan Krishna in Bangla


না এই শরীর তোমার , না তুমি এই শরীরের । এই শরীর অগ্নি ,জল,বায়ু , পৃথিবী দিয়ে তৈরি , আর একদিন  এই অগ্নি ,জল,বায়ু , ও পৃথিবীতে মিশে যেতে হবে ।

অনুপ্রেরণার বাণী ভগবান কৃষ্ণ বাংলা | Motivational quotes Bhagawan Krishna in Bangla



আত্মা অমর , না কেউ আত্মা কে মারতে পারে না আত্মার মৃত্যু হয় ।


আত্মার  জন্ম নেই , না কখনো মৃত্যু হয় । শরীর নষ্ট হয়ে গেলেও , আত্মা নষ্ট হয় না ।


তুমি নিজেকে  ভগবানের কাছে অর্পণ করে দাও , যে ভগবানের মহিমাকে বুঝতে পারে সে জীবনের ভয়, চিন্তা , সব ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি থাকে ।

 Videohttps://youtu.be/roDOuFiod7w


অনুপ্রেরণার বাণী ভগবান কৃষ্ণ বাংলা  ? Motivational quotes Bhagawan Krishna in Bangla


মনুষ্য যেমন পুরোনো কাপড় ছেড়ে নতুন কাপড় পরিধান করে । সেই রকম আত্মা ও পুরোনো শরীর পরিত্যাগ করে নতুন শরীর  ধারণ করে ।


না কোনো অস্ত্র আত্মা কে কাটতে পারে।, না অগ্নি আত্মা কে জ্বলাতে পারে , না বায়ু আত্মা কে শুকাতে পারে , না  জল আত্মা কে ভিজাতে পারে । আত্মা অমর , আত্মার বিনাশ নেই ।


পরিবর্তন সংসারের নিয়ম ,যাহাকে তুমি মৃত্যু বলে ভাবছো , সেটাই তো জীবন । আমার - তোমার , ছোট , বড় ,আপন , পর সবকিছু মন থেকে মিটিয়ে দাও , তারপর দেখো সব তোমার , তুমি সবার ।


সম্মানিত ব্যক্তির কাছে অপমান মৃত্যুর সমান ।


যা হয়েছে ভালো হয়েছে , যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে , যা হবে ভলো এই হবে । তুমি অতীতের কথা চিন্তা করো না , তুমি ভবিষ্যতের কথা ও চিন্তা করো না , তুমি বর্তমানে আছো , বর্তমানে ভালো ভাবে বাঁচার চেষ্টা করো ।



সুখ ও দুঃখ , লাভ ও ক্ষতি এবং জিৎ ও হার এর কথা চিন্তা না করে মানুষ্য কে সত্যি অনুযায়ী কর্তব্য ও কর্ম করে যাওয়া উচিত ।


খালি হাত এসেছো খালি হাত চলে যাবে , যা কিছু আজ তোমার সেটা অন্যদিন কারো ছিল ,পরশু সেটা আরো কারো হয়ে যাবে । আজ তুমি যে জিনিস নিজের বলে প্রসন্ন , সেটাই তোমার দুঃখের কারণ ।


নিজের মন কে যে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না , সেই মন তাহার কাছে শত্রূ ।


তোমার কি চলে গেছে , যে কারণে তুমি কাঁদছো ?
তোমি কি নিয়ে এসেছিলে ,যা তুমি   হারিয়ে ফেলেছো ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছিলে , যা নষ্ট হয়ে গেছে ?
তুমি আসার সময় কিছু নিয়ে আসো নি , যা নিয়েছি এখান থেকে নিয়েছো
যা  দিয়েছো এখান থেকে দিয়েছো ।


যদি জীবনে নিজের লক্ষ প্রাপ্তি করতে অসফল হয়েছো , তা হলে রণনীতি পরিবর্তন করো , লক্ষ কে না ।


যে ব্যক্তি পরিণামের চিন্তা না করে  কর্ম করে যায় , সেই ব্যক্তি একদিন জীবিনে সফল হয় ।


মন যদি অশান্তি হয়ে যায় , মনকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পরে , অভ্যাস দিয়ে  নিজের মন কে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ।


ফলের চিন্তা না করে কর্ম করে যায় ।

মনুষ্য নিজের আত্মবিশ্বাস দিয়ে গঠিত হয় ,আত্মবিশ্বাস দিয়ে একজন ব্যক্তি তার নিজের জীবন কে নিজের মতো করে তৈরি করতে পারে ।


নরকের তিনটি দ্বার - বাসনা , ক্রোধ , ও লোভ ।


কেবল  মানুষের মনটাই  কারো মিত্র বা শত্রূ হয় । মানুষ কারো  মিত্র বা শত্রূ হয় না ।


যে বিষয় টি তোমার হাতে নেই , সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে কোনো লাভ নেই ।


হে অর্জুন ,  যবে যবে এই সংসারে ধর্মের অনিষ্ট হয় , এই সংসারে অধর্ম বৃদ্ধি পায় , তখন তখন ধর্মের রক্ষার জন্য এই পৃথিবীতে আমি আবার ঘুরে আসি ।


হে অর্জুন , আমাদের দুজনের অনেক জন্ম হয়েছে , কিন্তু তোমার মনে নেই কিন্তু আমার মনে আছে ।

কর্ম যোগ বাস্তবে এক রহস্য ।


আমার কাছে কেউ ঘৃণিত বা প্রয় নয় , কিন্তু যে ব্যক্তি ভক্তি দিয়ে আমাকে স্মরণ করে । সেই বেক্তি   আমার সাথে সর্বদা থাকে এবং আমিও সেই বেক্তির সাথে সর্বদা  থাকি ।


হে অর্জুন , আমিই অতীত , আমিই বর্তমান , আমিই ভবিষ্যৎ , আমি সর্ব প্রাণীর মধ্যে বিরাজ করি ,যে প্রাণী আমাকে মন দিয়ে স্মরণ করে  , আমি সর্বদা তাদের পাশে থাকি ।


যে প্রাণী  লোভ , মায়া , ক্রোধ , অশান্তি , ঈর্ষা , থেকে মুক্তি আমি তার মধ্যে বিরাজ করি ।











মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রেরণার গল্প , কৃষকের অলস তিন ছেলে |Motivational Story in Bengali ,Farmer's lazy three sons

একটি গ্রামে এক কৃষক ছিল । সে মধ্যবিত্ত ছিল ,মধ্যবিত্তি হলেও সে অনেক প্ররিশ্রমী ছিল । সে প্ররিশ্রম করতে ভালোবাস্তো ।ঘরে বসে থাকতে চাইতো না । অলসভাবে বসে থাকতে সে ঘৃণা করতো । কৃষকের স্ত্রী - সেও খুব পরিশ্রমী । দিনরাত স্বামীর সংগে সে পরিশ্রম করে । এমন করে দিন যায় । কৃষকের তিন পুত্র । কিন্তু তিনটি পুত্র হলো খুব অলস । খায় - দায় ,গল্প করে ,গান গায় ঘুরে বেড়ায় - কারও কাজে মন নেই এতটুকু । কৃষক তাদের কাজ শেখালো । কি করে মাটি কুপাতে হয় ,মোই দিতে দিতে হয় , চাষ করতে হয় , বীজ বুনতে হয় ,সব শিখলো তারা । কিন্তু কেউ কাজ করতো না । তারা জানতো সব, কিন্তু করতো না কিছু । গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াতে তারা খুব ভালোবাসে । একদিন কৃষক গিন্নি কৃষকে বললো - শুনছ  গো ?- কি বলছো ? দেখছো ছেলেদের কান্ড ? হ্যাঁ ।  ছেলেরা ওরকম কুরে হলে তো দুদিনে বসে খেয়ে সব উড়িয়ে দেবে । তারপর কি হবে ? কৃষক চুপ করে রইলো । কিছুক্ষণ পরে শুধু একটু হেসে বললো - ঠিক সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে । এমন হবে দিন যায় । কৃষক গিন্নি স্বামীর কোথায় চুপ করে থাকে ।  দেখতে দেখতে কৃষক বৃদ্ধ হয়ে পড়লো । তখন সে একদিন স্ত্রীকে ডেকে বললো -...

অনুপ্রেরণামূলক গল্প গৌতম বুদ্ধ Inspirational Story Gautam Buddha

একবার গৌতম বুদ্ধ ,বুদ্ধ ধর্মের শিক্ষা প্রচারের জন্য গ্রাম গ্রাম শহর শহর নিজের শিষ্য দেড় নিয়ে ঘুরছিলেন ,পুরোদিন ঘুরতে ঘুরতে গৌতম বুদ্ধের জল পিপাসা পেয়ে গেলো ,জল পিপাসা এতই বেড়ে গেলো যে তিনি আর সহ্য করতে পড়তে ছিলেন না । তাই তিনি তার একজন শিষ্য কে ডেকে বললেন যে তার অনেক পিপাসা পেয়েছে তাই তার জন্য জল আনার জন্য । শিষ্য গুরুর আদেশে জল আনার জন্য গ্রামের ভিতরে গেলো ,গ্রামের মধ্যে দিয়ে একটি নদী বইছিল । কিন্তু সেই নদীতে গ্রামের সবাই কাপড় ধুইছিলো ,কেউ গরু ,মহিষ কে স্নান করাচ্ছিল ,তাই নদীর জল অপরিস্খার ছিল ,তাই শিষ্য চিন্তা করলো এই জল তো অপররিস্খার তার গুরুদেবের জন্য এই  অপরিস্খার জল নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না ,তাই শিষ্য জল না নিয়ে খালি হাতে চলে গেলো ,গৌতম বুদ্ধা যখন শিষ্য কে খালি হাথে চলে আসতে দেখেন তখন খালি হাতে আসার কারণ জিগ্গেস করেন ,তখন শিষ্য পুরো কাহিনী বলেন ।  এইদিকে গুরুদেবের পিপাসাতে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ,গৌতম বুদ্ধা তখন আরেকজন শিষ্যকে জল আনার জন্য বলেন তখন সেই শিষ্য একটি   মাটির পাত্রতে পরিস্খার জল নিয়ে আসে ,তা দেখে গৌতম বুদ্ধা অভাক হয়ে গেলেন এবং এব...

গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণার কাহিনী । জীবন বদলে দেবে এই কাহিনী

  এক গরিব দুঃখী বেক্তির জীবন পরিবর্তনের কাহিনী ।.   আমরা জীবনে এই নিয়ে দুঃখিত থাকি যে  ইহার কারণ কি ?আমরা সবাই এটাই সবসময় মনে করে থাকি ,আমি  অন্যদের থেকে অনেক দুঃখিত ,অনেক কষ্ট করছি ,জীবনে কষ্ট সবচেয়ে বেশি আমার । অন্যরা আমার থেকে অনেক সুখে আছে ,শান্তিতে আছে , কিন্তু আমাদের এই চিন্তা ভুল । ভগবান আমাদের জন্মের সাথে সাথে জীবনে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন । ভগবান গৌতম বুদ্বের এই গল্প থেকে বুজতে পারবো । গৌতম বুদ্ধ  একবার  তার শিষ্যদের সাথে একটি গ্রামে গিয়েছিলেন । সেই গ্রামের লোকেরা তাদের সমষ্যা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের কাছে যেত এবং তাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফায়ার যেত । ওই গ্রামের রাস্তার ধরে একটি লোক বসে থাকতো এবং গৌতম বুদ্বের কাছে আসা প্রতিটি লোককে খুব মনোযোগ সহকারে  লক্ষ্য  করতো , সে এটা দেখে খুব অবাক হতো যে লোকতো  আসে অনেক মন খারাপ নিয়ে , কিন্তু যখন তারা গৌতম বুদ্ধের দর্শন করে ফিরত তারা অনেক খুশি থাকত , এবং মুখে থাকতো একটা হাসি ।  তাই গরিব ব্যক্তিটি মনে মনে ভাবলো যদি আমিও আমার সমস্যার কথা গৌত...