আমরা জীবনে যখন সফলতা পাই না ,মন নিরাশা হয়ে উঠে ,ভেঙ্গে পরি ,চতুর্দিকে অন্ধকার মনে হয় । তখন মনে এই জীবনে আমার আর কিছু হবে না ,আমি কিছু করতে পারবো না ,আমার ধারা কিছু হবে না ,আমি জীবনে সফল হতে পারবো না ,তখন নিজের উপর রাগ হয় ,নিজিকে ছোট বলে মনে হয় ।
কিন্তু এটা ভুল কথা ভাগ্য বলে কুনো কিছু হয়ে না , আমাদের নিজের ভাগ্য নিজের হাতে ,আমরা নিজের ভাগ্য নিজে তৈরি করতে পারি । যখন আমরা বিফল হয়ে থাকি তখন আমরা চিন্তা করি কি ? কেন বিফল হলাম ? কুথায় ভুল হলো যার কারণে সফল হতে পারলাম না । তা চিন্তা না করে বিফল হওয়ার দুঃখ করে থাকি ।
আমরা জীবনে একবার বিফল হলেই ভেঙ্গে পরি ,আমরা সেই কাজ করা ছেড়ে দেই । আমরা আমাদের উপর থেকে বিশ্বাস ছেড়ে দেই ,নিজিকে দুর্বল মনে করি । কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী আজ এই পৃথিবীতে সফল ওদের জীবনী দেখলে বুজা যায় ,সফল মানুষ একদিন বা একবার চেষ্টা করে সফল হন নি ,বার বার হাজার বার বিফল হয়েছেন তারপর গিয়ে সাফল্য ল্যাব করেছেন ,যখন বড় কিছু অর্জন করতে হয় তার জন্য , তার জন্য বার বার বিফল হতে হবে ,ইটা প্রাকৃতিক নিয়ম ।
তত্ত্ব জ্ঞান আমরা বই পরে বা শুনে অর্জন করতে পারি কিন্তু বাস্তিবক জ্ঞান বিফলতা থেকে হয় । যখন আমরা কোন কাজ শুরু করি প্রথম চেষ্টাতে যদি বিফল হয় ,তখন ভেঙ্গে না পরে সেই কাজ বন্ধ না করে সেই বিফলতার কারণ বের করে আবার চেষ্টা করা,আপনি যদি বার বার বিফল হন কোনো ক্ষতি নেই ,কারণ বার বার বিফল হওয়ার কারণ যদি আপনি খুঁজে বের করে আবার সেই কাজে লিপ্ত হন |,
একদিন আপনার কাজের পুরো বাস্তবিক জ্ঞান পেয়ে যাবেন ,আর সেইদিন আপনি আপনার কাজে নিশ্চয় সাফল্য পেয়ে যাবেন । জীবনে সফল হতে হলে ধর্য্য এবং কাজের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে ।
আচার্য্য জগদীশচন্দ্র বসু যখন প্রথম টেলিগ্রাফ আবিস্খার করেন কিন্তু টাকার অবাবে লন্ডন গিয়ে প্রদর্শন করতে পারেন নি ,কিন্তু স্যামুয়েল মোর্স তারপর আবিষ্কার করে ও টেলিগ্রাফের আবিষ্কর্তা উপাধি পেয়ে যান ,এতে কিছু সময়ের জন্য জগদীশচন্দ্র ভেঙে পড়েছিলেন ।
জগদীশচন্দ্র এর বাবা তার জন্ম দিনে একখানি গীতা উপহার দিয়েছিলেন ,গীতাতে ভগবান কৃষ্ণ বলেছিলে ,বার বার বিফল হয়ে ও যে হার মানে না সেই একদিন সবচেয়ে বড় জয়ী হয় ।
এই বাণী পরে জগদীশ্চন্দ্র পদার্থবিজ্ঞান ছেড়ে জীববিজ্ঞান এ চর্চা শুরু করেন তারপর তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অবশিকার করেন যে গাছের মধ্যেও প্রাণ আছে । তিনি যদি বিফল হয়ে চেষ্টা করা ছেড়ে দিতেন তা হলে আজ এতবড়ো আবিষ্কার করতে পারতেন না ।
একটি শিশু যখন প্রথম প্রথম হাটতে শিখে তখন প্রথম বার এই দাঁড় হয়ে হাটতে শুরু করে নি ,বার বার পড়েছে তারপর গিয়ে হাটতে শিখেছে । বড় কিছু সাফল্য পেতে হলে অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হবে । প্রত্যেক মানুষের মধ্যে কোনো না কোনো কিছু গুন্ আছে ,কেবল সেটাকে চিনতে হবে ।
একটি গল্প বলছি ,দুই বন্দু পড়াশুনা শেষ করে কাজ খুঁজতে শুরু করলো অনেক চেষ্টা করার পর কোনো কাজ কর্ম খুঁজে পেলো না ,তখন দুই বন্দু সিদ্ধান্ত নিলো যে ব্যবসা শুরু করবে, দুই বন্দু ঘরে ঘরে গিয়ে কাপড় বেচতে শুরু করে , এক বন্দুর নাম ছিল রবি আরেক বন্দু এর নাম ছিল সামু ,রামু ও সামু সকালে উঠে অন্য জায়গায় কাপড় বেচতে চলে যায় ।
প্রথম দিন রামু দুটা কাপড় বেচলো ,আর সামু একটা এই ভাবে দশ ,পনেরো দিন চলে গেলো কিন্তু ওদের ব্যবসা ভালো চলছিল না ,সামু চিন্তা করে দেখলো মনে হয় কাপড়ের ব্যবসা এই জাগাগুলোতে ভালো চলবে না ,তা সামু ঘরে ঘরে গিয়ে সবজি বেচতে শুরু করে ,কিন্তু রামু তার কাপড়ের ব্যবসা কেন চলছে না ,তার কোথায় ভুল হচ্ছে তা চিন্তা করতে লাগলো কাপড় তো সবার দরকার কিন্তু কেউ কিনছে না কেন ,তখন রামু তার কাপড়ের দাম কম করে দিলো ,তখন তার কাপড় ধীরে ধীরে চলতে শুরু করে , তারপর সে তার কপরের কোয়ালিটি ,আর নতুন ফ্যাশন এর কাপড় বেচতে শুরু করে , তারপর সবাই রামুর কাছে থেকে কাপড় কিনতে শুরু করে ,কারণ বাজার থেকে কাপড় কিনবে সেই কাপড় রামুর কাছে বাজার থেকে কম দামে পেয়ে যাচ্ছে ,
রামুর ব্যবসা ভালো চলতে লাগলো ,আর সামু একটার পর একটা ব্যবসা পরিবর্ত্তন করতে থাকে ,সে আর ব্যবসা ভালো ভাবে করতে পারছিলো না , কারণ সে তার ব্যবসার ভুল গুলো পরিবর্ত্তন করার পরিবর্তে সে ব্যবসা কে একের পর এক ব্যবসা পরিবর্ত্তন করছিলো তাই তার কোনো ব্যবসার জ্ঞান ভালো ভাবে অর্জ্জন করতে পারেনি ,তাই তার ব্যবসাতে ক্ষতি হচ্ছিলো ।কিন্তু রামু তার ব্যবসা পরিবর্ত্তন করেনি ,সে তার একই ব্যবসার ভুল গুলোকে বুজতে পেরেছে আর সেই ভুল গুলোকে ঠিক করেছে ,এবং তার এই ব্যবসার ভালো জ্ঞান ও হয়েগিয়েছিল তাই সে তার কাপড়ের ব্যবসাতে উন্নতি করতে পেরেছে ।
আমরা জীবনে কোনো কর্ম্ম শুরু করার পর যদি সফলতা আসে না ,তাহলে সেই কর্ম্ম ছেড়ে না দিয়ে আমাদের সেই কর্মে কোথায় ভুল হচ্ছে সেটাকে সঠিক করে আবার শুরু করা ,এই ভাবে করতে পারলে সে কাজের প্রতি আমাদের পুরু জ্ঞান হয়ে যাবে , আর কাজের প্রতি পুরো জ্ঞান হয়ে গেলে সফলতা আসবেই । আর যদি আমরা নতুন নতুন কাজ চেষ্টা করতে থাকি ,তাহলে কোনো কাজের প্রতি আমাদের পুরো জ্ঞান হবে না আর আমরা সাফল্য কোনোদিন অর্জন করতে পারবো না ।
এই পৃথিবীতে যারা সফল অর্জন করেছেন তারা একেই দিনে সাফল্য পান নি ,তারা নিয়ে একেই কাজে বার বার বিফল হয়ে আবার চেষ্টা করেছেন ,নিজের কাজের ভুল গুলোকে ঠিক করেছেন ,নিজের কাজকে নিষ্ঠা সহকারে করেছেন ,কাজের পুরো জ্ঞান নিয়েছেন তার পর সাফল্য পেয়েছেন ।
আমাদের ও সেই ভাবে যে কোনো কাজ শুরু করার পর সফল না হলে ও কাজ ছেড়ে না দিয়ে চেষ্টা করে যাওয়া উচিত যতদিন না পর্যন্ত সাফল্য আসে ।সাফল্য পেতে গেলে ধর্য্য করা ও শিখতে হবে ,ধর্য্য ছাড়া কুনো কাজে সাফল্য পাওয়া সম্ভব না ।স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন তার এক বাণীতে " চেষ্টা করে যাও যতদিন না পর্যন্ত সাফল্য আসে"।
Thanks sir 🙏❤️😊
উত্তরমুছুনThanks sir 🙏❤️😊
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর ।
উত্তরমুছুন