সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

প্রেরণার গল্প , কৃষকের অলস তিন ছেলে |Motivational Story in Bengali ,Farmer's lazy three sons


একটি গ্রামে এক কৃষক ছিল । সে মধ্যবিত্ত ছিল ,মধ্যবিত্তি হলেও সে অনেক প্ররিশ্রমী ছিল । সে প্ররিশ্রম করতে ভালোবাস্তো ।ঘরে বসে থাকতে চাইতো না । অলসভাবে বসে থাকতে সে ঘৃণা করতো ।
কৃষকের স্ত্রী - সেও খুব পরিশ্রমী । দিনরাত স্বামীর সংগে সে পরিশ্রম করে । এমন করে দিন যায় । কৃষকের তিন পুত্র । কিন্তু তিনটি পুত্র হলো খুব অলস । খায় - দায় ,গল্প করে ,গান গায় ঘুরে বেড়ায় - কারও কাজে মন নেই এতটুকু । কৃষক তাদের কাজ শেখালো ।

প্রেরণার গল্প , কৃষকের অলস তিন ছেলে | Motivational  Story ,Farmer's lazy three sons


কি করে মাটি কুপাতে হয় ,মোই দিতে দিতে হয় , চাষ করতে হয় , বীজ বুনতে হয় ,সব শিখলো তারা । কিন্তু কেউ কাজ করতো না । তারা জানতো সব, কিন্তু করতো না কিছু । গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াতে তারা খুব ভালোবাসে । একদিন কৃষক গিন্নি কৃষকে বললো - শুনছ  গো ?- কি বলছো ? দেখছো ছেলেদের কান্ড ? হ্যাঁ । 

ছেলেরা ওরকম কুরে হলে তো দুদিনে বসে খেয়ে সব উড়িয়ে দেবে । তারপর কি হবে ? কৃষক চুপ করে রইলো । কিছুক্ষণ পরে শুধু একটু হেসে বললো - ঠিক সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে । এমন হবে দিন যায় । কৃষক গিন্নি স্বামীর কোথায় চুপ করে থাকে । 

দেখতে দেখতে কৃষক বৃদ্ধ হয়ে পড়লো । তখন সে একদিন স্ত্রীকে ডেকে বললো - ছেলেদের ডেকে দাও তো গো - স্ত্রী ছেলেদের ডেকে আনলে । কৃষক বললে - বাবা ,আমি বৃদ্ব ,তার উপর অসুস্থ্য । তুমাদের মা রইলেন । আমি হয়তো শিগ্রই মারা যাবো । মৃত্যর আগে তুমাদের একটা কথা বলি । 


তারা বললে - বলুন । তুমাদের বাড়ির সামনে এই যে ক্ষেত দেখছো ওর মধ্যে বিরাট শুনার পিন্ড লুকনো আছে । আমি মারা গেলে তুমরা মাটি খুঁড়ে তা তুলে নিও । তিনজনে সমান ভাগে ভাগ করে নিও । তারা বললে -আচ্ছা । 

কিছুদিন পর । কৃষকের অসুখ বেড়ে গেলো । সে কয়েক মাস রোগ ভুগে ,তারপর একদিন মারা গেলো । ছেলেরা মহা ধুম করে তার শ্রাদ্ধ শান্তি ক্রিয়া শেষ করলো । তারপর তিন ভাই তিনটি কুড়াল নিয়ে মাটি খুঁড়তে লাগলো - কিন্তু কুথাও তা পেলো না । অবশেষে মনের ঢুকে তারা তিন চার দিন পর অবশ হয়ে বসে পড়লো । 

এমন সময় মেজো ভাই এর কুড়াল ঠক করে কিসে লাগলো । সে বলে উঠলো - পেয়েছি - কিন্তু তুল্লে দেখা গেলো তা শুধু একটা পাথর মাত্র । আবার তিন ভাই মন খারাপ করে বসে পড়লো ।এমন সময় সেই গ্রামের আর একজন চাষি এলো তাদের কান্ডকারখানা দেখতে । 

সে এই তিন ভাইয়ের বন্দু । সে সব শুনে বললো -এই বেপার  তা চুমুর এক কাজ করো না ভাই । -কি কাজ ? তুমাদের জমি তো আগাগুড়া খুড়া হলো । এবার এতে বীজ পুঁতে দাও- ফসল হোক । 



তারা এতে রাজি হয়ে গেলো ।  দুদিন খেতে সেই খেতে তারা বীজ বুনল । কিছুদিন পরে গাছ বড় হলো -ফসল ফললো । সেই ফসল তারা গুলাই পুড়লো । তা বিক্রি করে তারা অনেক টাকা পেলো । তিন ভাই সেই টাকা ভাগ করে নিলো । তখন তিন ভাই বললো-   বাবা ,এই পঁয়ত্রিক ধনেই রেখে গেছেন । এ ধন কখনো শেষ হবে না ।

তারা তিন ভাই তারপর থেকে খুব পরিশ্রমী হয়ে উঠলো । তারা বেশ মনোযোগ নিয়ে কৃষিকাজ করতে লাগলো । জীবনে আর কখনো তাদের অর্থের অভাব হয়নি ,তারা খুব সুখী । আজও এই সুখী কৃষক পরিবারের সকলে বলে থাকে - পরিশ্রম এই হলো সোনা অর্থাৎ টাকা ।




মন্তব্যসমূহ

  1. DoctypePDF.com is the best PDF search engine that helps you find PDF documents quickly and easily. You can search for free eBooks, research papers, guides, and more. Just type what you need, and DoctypePDF shows you results with the filetype PDF. It’s one of the best PDF search engines for students, researchers, and anyone looking to download PDF files for free.

    DoctypePDF.com was created by Mir Abul Kashem, a blogger, web designer, and web developer from Dhaka, Bangladesh. He was born on October 5, 1998, and is known for building useful websites that help people find information easily.

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

অনুপ্রেরণামূলক গল্প গৌতম বুদ্ধ Inspirational Story Gautam Buddha

একবার গৌতম বুদ্ধ ,বুদ্ধ ধর্মের শিক্ষা প্রচারের জন্য গ্রাম গ্রাম শহর শহর নিজের শিষ্য দেড় নিয়ে ঘুরছিলেন ,পুরোদিন ঘুরতে ঘুরতে গৌতম বুদ্ধের জল পিপাসা পেয়ে গেলো ,জল পিপাসা এতই বেড়ে গেলো যে তিনি আর সহ্য করতে পড়তে ছিলেন না । তাই তিনি তার একজন শিষ্য কে ডেকে বললেন যে তার অনেক পিপাসা পেয়েছে তাই তার জন্য জল আনার জন্য । শিষ্য গুরুর আদেশে জল আনার জন্য গ্রামের ভিতরে গেলো ,গ্রামের মধ্যে দিয়ে একটি নদী বইছিল । কিন্তু সেই নদীতে গ্রামের সবাই কাপড় ধুইছিলো ,কেউ গরু ,মহিষ কে স্নান করাচ্ছিল ,তাই নদীর জল অপরিস্খার ছিল ,তাই শিষ্য চিন্তা করলো এই জল তো অপররিস্খার তার গুরুদেবের জন্য এই  অপরিস্খার জল নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না ,তাই শিষ্য জল না নিয়ে খালি হাতে চলে গেলো ,গৌতম বুদ্ধা যখন শিষ্য কে খালি হাথে চলে আসতে দেখেন তখন খালি হাতে আসার কারণ জিগ্গেস করেন ,তখন শিষ্য পুরো কাহিনী বলেন ।  এইদিকে গুরুদেবের পিপাসাতে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ,গৌতম বুদ্ধা তখন আরেকজন শিষ্যকে জল আনার জন্য বলেন তখন সেই শিষ্য একটি   মাটির পাত্রতে পরিস্খার জল নিয়ে আসে ,তা দেখে গৌতম বুদ্ধা অভাক হয়ে গেলেন এবং এব...

গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণার কাহিনী । জীবন বদলে দেবে এই কাহিনী

  এক গরিব দুঃখী বেক্তির জীবন পরিবর্তনের কাহিনী ।.   আমরা জীবনে এই নিয়ে দুঃখিত থাকি যে  ইহার কারণ কি ?আমরা সবাই এটাই সবসময় মনে করে থাকি ,আমি  অন্যদের থেকে অনেক দুঃখিত ,অনেক কষ্ট করছি ,জীবনে কষ্ট সবচেয়ে বেশি আমার । অন্যরা আমার থেকে অনেক সুখে আছে ,শান্তিতে আছে , কিন্তু আমাদের এই চিন্তা ভুল । ভগবান আমাদের জন্মের সাথে সাথে জীবনে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন । ভগবান গৌতম বুদ্বের এই গল্প থেকে বুজতে পারবো । গৌতম বুদ্ধ  একবার  তার শিষ্যদের সাথে একটি গ্রামে গিয়েছিলেন । সেই গ্রামের লোকেরা তাদের সমষ্যা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের কাছে যেত এবং তাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফায়ার যেত । ওই গ্রামের রাস্তার ধরে একটি লোক বসে থাকতো এবং গৌতম বুদ্বের কাছে আসা প্রতিটি লোককে খুব মনোযোগ সহকারে  লক্ষ্য  করতো , সে এটা দেখে খুব অবাক হতো যে লোকতো  আসে অনেক মন খারাপ নিয়ে , কিন্তু যখন তারা গৌতম বুদ্ধের দর্শন করে ফিরত তারা অনেক খুশি থাকত , এবং মুখে থাকতো একটা হাসি ।  তাই গরিব ব্যক্তিটি মনে মনে ভাবলো যদি আমিও আমার সমস্যার কথা গৌত...