সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

জ্ঞান অর্জন কি ভাবে হয় ,গৌতম বুদ্ধ । How to gain knowledge, Gautama Buddha

 

একদিন গৌতম বুদ্ধ এক সভাতে প্রবচন দিচ্ছিলেন । গৌতম বুদ্ধ প্রবচন শেষ করার পর ,যারা প্রবচন শুনতে এসেছিলেন তাদেরকে বল্লেন ," জাগো ,সময় হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে "। প্রবচন শেষ করার পর গৌতম বুদ্ধ তার প্রিয় শিষ্য আনন্দ কে বললেন " চলো আনন্দ একটু ঘুরে আসি "। 


 জ্ঞান অর্জন কি ভাবে হয় গৌতম বুদ্ধ  How to gain knowledge Gautama Buddha

আনন্দ ও গৌতম বুদ্ধ এর সাথে বেরিয়ে পড়েন । কিন্তু আশ্ৰম এর মুখ্য দরজার সামনে এসে  আনন্দ ও গৌতম বুদ্ধ  দরজার এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন , কারণ যারা গৌতম বুদ্ধের প্রবচন শুনতে এসেছিলেন তারা ধীরে ধীরে একজন একজন করে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন  আর ভিড় লেগে গিয়েছিলো । 


তাই আনন্দ আর গৌতম বুদ্ধ সবাইকে যেতে দেবার জন্য দরজার এক পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন । আচানক ,সেই ভিড় থেকে একজন স্ত্রী এসে গৌতম বুদ্ধ কে প্রণাম করে ,এবং বলে " ভগবান আমি একজন নর্তকী ,আজ শহরের সভাপতির ঘরে আমার নৃত্যের অনুষ্ঠান ছিল ,কিন্তু আমি আপনার প্রবচনে এসে নের্তৃত্বের অনুষ্ঠান এর কথা  ভুলে  গিয়েছিলাম ।


 কিন্তু যখন আপনি বললেন যে ," জাগো ,সময় হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে " ,তখন আমার অনুষ্ঠানের কথা মনে পরে যায় ,তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।



ঐদিন এক ডাকু এসেছিলো গৌতম বুধের প্রবচন শুনার জন্য । হঠাৎ ভিড় থেকে বেরিয়ে এসে গৌতম বুদ্ধ কে প্রণাম করে বললো , ভগবান আমি আপনাকে মিথ্যে বলবোনা ,আমি একজন ডাকু ।


আজ আমার এক জায়গায় ডাকাতি করার জন্য যেতে ছিলাম ,আমি ভুলে গিয়েছিলাম কিন্তু আপনার প্রবচন শেষ করার পর যখন আপনি বললেন যে ," জাগো ,সময় হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে "- তখন আমার মনে পরে যায় ,যে আজ আমাকে ডাকাতি করতে হবে , তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভগবান ।

তারপর একজন বৃদ্ধ লোক ধীরে ধীরে আসে এবং গৌতম বুদ্ধের কাছে এসে প্রণাম করে বলে ,যে আমি পুরো জীবন ,টাকা পয়সা ,সুখ ,পরিবার,সবকিছু এর পিছনে ছুটতে থাকি ।


জীবনে কোনো সমাজ সেবক কাজ করি নি ,কিন্তু আজ আপনার প্রবচনে যে বললেন ," জাগো ,সময় হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে " - কিন্তু আজ মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগুচ্ছি ।



এখন মনে হচ্ছে আমার জীবনটা বেকার কাটিয়েছি ,কিন্তু আজ আপনার ভাষণে আমার চোখ খুলে গেছে ,আজ থেকে আমি সংসারের মোহো , মায়া ছেড়ে সংসারের ভালোর জন্য ,সংসারের লোকের ভালোর জন্য কাজ করবো । এই বলে বৃদ্ব প্রণাম করে চলে যায় ।


যখন সবাই চলে গেলো ,গৌতম বুদ্ধ তার প্রিয় শিষ্য আনন্দ কে বললেন ," দেখো আনন্দ আমি প্রবচন  একটি দিয়েছি কিন্তু ,তার অর্থ সবাই আলাদা আলাদা বের করেছে ।যার যতটুকু ক্ষমতা সে ততটুকু এই দান গ্রহণ করতে পারবে ।জ্ঞান অর্জন করতে গেলে তার মন কে ও  উপযুক্ত মন তৈরি করতে হবে ।তার জন্য জ্ঞান অর্জন করতে গেলে মন পবিত্র হওয়া দরকার ।

মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রেরণার গল্প , কৃষকের অলস তিন ছেলে |Motivational Story in Bengali ,Farmer's lazy three sons

একটি গ্রামে এক কৃষক ছিল । সে মধ্যবিত্ত ছিল ,মধ্যবিত্তি হলেও সে অনেক প্ররিশ্রমী ছিল । সে প্ররিশ্রম করতে ভালোবাস্তো ।ঘরে বসে থাকতে চাইতো না । অলসভাবে বসে থাকতে সে ঘৃণা করতো । কৃষকের স্ত্রী - সেও খুব পরিশ্রমী । দিনরাত স্বামীর সংগে সে পরিশ্রম করে । এমন করে দিন যায় । কৃষকের তিন পুত্র । কিন্তু তিনটি পুত্র হলো খুব অলস । খায় - দায় ,গল্প করে ,গান গায় ঘুরে বেড়ায় - কারও কাজে মন নেই এতটুকু । কৃষক তাদের কাজ শেখালো । কি করে মাটি কুপাতে হয় ,মোই দিতে দিতে হয় , চাষ করতে হয় , বীজ বুনতে হয় ,সব শিখলো তারা । কিন্তু কেউ কাজ করতো না । তারা জানতো সব, কিন্তু করতো না কিছু । গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াতে তারা খুব ভালোবাসে । একদিন কৃষক গিন্নি কৃষকে বললো - শুনছ  গো ?- কি বলছো ? দেখছো ছেলেদের কান্ড ? হ্যাঁ ।  ছেলেরা ওরকম কুরে হলে তো দুদিনে বসে খেয়ে সব উড়িয়ে দেবে । তারপর কি হবে ? কৃষক চুপ করে রইলো । কিছুক্ষণ পরে শুধু একটু হেসে বললো - ঠিক সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে । এমন হবে দিন যায় । কৃষক গিন্নি স্বামীর কোথায় চুপ করে থাকে ।  দেখতে দেখতে কৃষক বৃদ্ধ হয়ে পড়লো । তখন সে একদিন স্ত্রীকে ডেকে বললো -...

অনুপ্রেরণামূলক গল্প গৌতম বুদ্ধ Inspirational Story Gautam Buddha

একবার গৌতম বুদ্ধ ,বুদ্ধ ধর্মের শিক্ষা প্রচারের জন্য গ্রাম গ্রাম শহর শহর নিজের শিষ্য দেড় নিয়ে ঘুরছিলেন ,পুরোদিন ঘুরতে ঘুরতে গৌতম বুদ্ধের জল পিপাসা পেয়ে গেলো ,জল পিপাসা এতই বেড়ে গেলো যে তিনি আর সহ্য করতে পড়তে ছিলেন না । তাই তিনি তার একজন শিষ্য কে ডেকে বললেন যে তার অনেক পিপাসা পেয়েছে তাই তার জন্য জল আনার জন্য । শিষ্য গুরুর আদেশে জল আনার জন্য গ্রামের ভিতরে গেলো ,গ্রামের মধ্যে দিয়ে একটি নদী বইছিল । কিন্তু সেই নদীতে গ্রামের সবাই কাপড় ধুইছিলো ,কেউ গরু ,মহিষ কে স্নান করাচ্ছিল ,তাই নদীর জল অপরিস্খার ছিল ,তাই শিষ্য চিন্তা করলো এই জল তো অপররিস্খার তার গুরুদেবের জন্য এই  অপরিস্খার জল নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না ,তাই শিষ্য জল না নিয়ে খালি হাতে চলে গেলো ,গৌতম বুদ্ধা যখন শিষ্য কে খালি হাথে চলে আসতে দেখেন তখন খালি হাতে আসার কারণ জিগ্গেস করেন ,তখন শিষ্য পুরো কাহিনী বলেন ।  এইদিকে গুরুদেবের পিপাসাতে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ,গৌতম বুদ্ধা তখন আরেকজন শিষ্যকে জল আনার জন্য বলেন তখন সেই শিষ্য একটি   মাটির পাত্রতে পরিস্খার জল নিয়ে আসে ,তা দেখে গৌতম বুদ্ধা অভাক হয়ে গেলেন এবং এব...

গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণার কাহিনী । জীবন বদলে দেবে এই কাহিনী

  এক গরিব দুঃখী বেক্তির জীবন পরিবর্তনের কাহিনী ।.   আমরা জীবনে এই নিয়ে দুঃখিত থাকি যে  ইহার কারণ কি ?আমরা সবাই এটাই সবসময় মনে করে থাকি ,আমি  অন্যদের থেকে অনেক দুঃখিত ,অনেক কষ্ট করছি ,জীবনে কষ্ট সবচেয়ে বেশি আমার । অন্যরা আমার থেকে অনেক সুখে আছে ,শান্তিতে আছে , কিন্তু আমাদের এই চিন্তা ভুল । ভগবান আমাদের জন্মের সাথে সাথে জীবনে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন । ভগবান গৌতম বুদ্বের এই গল্প থেকে বুজতে পারবো । গৌতম বুদ্ধ  একবার  তার শিষ্যদের সাথে একটি গ্রামে গিয়েছিলেন । সেই গ্রামের লোকেরা তাদের সমষ্যা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের কাছে যেত এবং তাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফায়ার যেত । ওই গ্রামের রাস্তার ধরে একটি লোক বসে থাকতো এবং গৌতম বুদ্বের কাছে আসা প্রতিটি লোককে খুব মনোযোগ সহকারে  লক্ষ্য  করতো , সে এটা দেখে খুব অবাক হতো যে লোকতো  আসে অনেক মন খারাপ নিয়ে , কিন্তু যখন তারা গৌতম বুদ্ধের দর্শন করে ফিরত তারা অনেক খুশি থাকত , এবং মুখে থাকতো একটা হাসি ।  তাই গরিব ব্যক্তিটি মনে মনে ভাবলো যদি আমিও আমার সমস্যার কথা গৌত...