সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অহংকার বিনাশের মূল কারণ


                                         
                                 

অহংকার বিনাশের মূল কারণ



অহংকার বিনাশের মূল কারণ ,এই পৃথিবীতে মানব জীবনের সবচেয়ে বড় শত্র্রু হলো অহংকার ।
অহংকার মানব জীবন কে ধ্বংস করে দেয় ,ঈশ্বর প্রাপ্তি থেকে বঞ্চত করে দেয় ,অহংকার আপনার মহৎ কাজে বাধা উৎপন্ন করে । তাই অহংকার মানব জীবন কে ধ্বংস করার পূর্বে অহংকার কে ধ্বংস করে দেয়া উচিত ।



যখন অর্জুন এর মদ্যে  অহংকার  আসে অর্জুন নিজিকে ত্রিলোকের সর্বশ্রষ্ট ধনুরধার মনে করতে শুরু করেন ,তাই অর্জুনকে তার অহংকার থেকে মুক্তি করার জন্য ,হনুমান কে পাঠালেন । হনুমান রামসেতুর ধরে বসে ধ্যান করছিলেন ,এমন সময় অর্জুন সেই  রাম সেতুর পাশ  যাচ্ছিলেন ,হনূমান কে ধ্যান এ দেখে জিজ্ঞাসা করলেন আপনি কে? হনূমান তখন বললেন  আমি একজন রাম ভক্ত ,
                                                           
                                                অর্জুন তখন জিজ্ঞাসা করলেন ,রাম একজন সর্বশ্রষ্ট ধনুর্ধারি ছিলেন তিনি কেন তার বান দিয়ে সেতু তৈরি করেননি ,তিনি পাথর দিয়ে কেন সেতু তৈরী করলেন ।হনূমান বললেন যে প্রভু রামের হাজার হাজার বানর সেনা ছিল ,তাই বান দিয়ে তৈরী করা সেতু সেনাদের ভার সহ্য করতে পারবে না ,তাই প্রভু রাম পাথর দিয়ে সেতু তৈরী করেন ।

                                            এই কথা শুনে অর্জুন হাস্তে শুরু করে বলে আমি ত্রিলোকের সর্বশ্রষ্ট ধনুর্ধারি আমার বান দিয়ে তৈরী সেতু কখনো ভাঙবে না ,তখন হনুমান বলেন তুমার তৈরী সেতু আমি একই ভেঙ্গে দেব ।এই কথা শুনে অর্জুন খুব রাগানিত্ম হয়ে হনূমান বললেন ঠিক আছে ,তুমি যদি আমার বান দিয়ে তৈরী সেতু ভেঙ্গে দাও তা হলে আমি তুমার দাস হবো,আর যদি তুমি ভাংতে না পারো তাহলে তুমি আমার দাস হবে,হনূমান রাজি হয়ে গেলেন ।

অর্জুন তার বান দিয়ে সেতু তৈরী করলেন ,আর হনুমান তা পা সেতুর উপর রাখতে এই সেতু ভেঙে গেলো ।তা দেখে অর্জুনের এতদিনের অহংকার ভেঙে গেলো ।

                                         হনূমান অর্জুন কে বললেন হে অর্জুন তুমি তুমার অহংকার এর জন্য অনেক বোরো পাপ করেছো আর সেটা হলো প্রভু রাম কে অপমান করেছো ,অর্জুন বুজতে পারলো তার অহংকারের জন্য কত বড় পাপ করেছে ।

তাই অর্জুন তার বান দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে নিজিকে অগ্ন দেবতার কাছে আত্মসমর্পণ করতে যাচ্ছিলো ,এমন সময় ভগবান শ্রী কৃষ্ণ প্রকট হয়ে অর্জুন কে বাধা দেন ,হে অর্জুন তুমার অহংকার কে বধ করার জন্য আমি হনুমান কে পাঠিয়েছিলাম ,তুমাকে কুরুক্ষেত্র যুদ্দ করতে হবে ,আর সেই যুদ্বে তুমাকে জয়ী হতে হবে ,আর তুমি তুমার এই অহংকার নিয়ে কখনো যুদ্বে জয় লাভ করতে পারবে না ,তাই তুমার অহংকার নষ্ট করা প্রয়োজন ছিল |

                                            ভগবান শ্রী কৃষ্ণের এই বাণী থেকে আমরা এই শিক্ষা পাই যে ,মনে অহংকার থাকলে আমরা কোনো কাজে সফল হতে পারবো না ,তাই জীবনে সফল হতে গেলে অহংকার কে নষ্ট করতে হবে মন থেকে ।


মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রেরণার গল্প , কৃষকের অলস তিন ছেলে |Motivational Story in Bengali ,Farmer's lazy three sons

একটি গ্রামে এক কৃষক ছিল । সে মধ্যবিত্ত ছিল ,মধ্যবিত্তি হলেও সে অনেক প্ররিশ্রমী ছিল । সে প্ররিশ্রম করতে ভালোবাস্তো ।ঘরে বসে থাকতে চাইতো না । অলসভাবে বসে থাকতে সে ঘৃণা করতো । কৃষকের স্ত্রী - সেও খুব পরিশ্রমী । দিনরাত স্বামীর সংগে সে পরিশ্রম করে । এমন করে দিন যায় । কৃষকের তিন পুত্র । কিন্তু তিনটি পুত্র হলো খুব অলস । খায় - দায় ,গল্প করে ,গান গায় ঘুরে বেড়ায় - কারও কাজে মন নেই এতটুকু । কৃষক তাদের কাজ শেখালো । কি করে মাটি কুপাতে হয় ,মোই দিতে দিতে হয় , চাষ করতে হয় , বীজ বুনতে হয় ,সব শিখলো তারা । কিন্তু কেউ কাজ করতো না । তারা জানতো সব, কিন্তু করতো না কিছু । গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াতে তারা খুব ভালোবাসে । একদিন কৃষক গিন্নি কৃষকে বললো - শুনছ  গো ?- কি বলছো ? দেখছো ছেলেদের কান্ড ? হ্যাঁ ।  ছেলেরা ওরকম কুরে হলে তো দুদিনে বসে খেয়ে সব উড়িয়ে দেবে । তারপর কি হবে ? কৃষক চুপ করে রইলো । কিছুক্ষণ পরে শুধু একটু হেসে বললো - ঠিক সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে । এমন হবে দিন যায় । কৃষক গিন্নি স্বামীর কোথায় চুপ করে থাকে ।  দেখতে দেখতে কৃষক বৃদ্ধ হয়ে পড়লো । তখন সে একদিন স্ত্রীকে ডেকে বললো -...

অনুপ্রেরণামূলক গল্প গৌতম বুদ্ধ Inspirational Story Gautam Buddha

একবার গৌতম বুদ্ধ ,বুদ্ধ ধর্মের শিক্ষা প্রচারের জন্য গ্রাম গ্রাম শহর শহর নিজের শিষ্য দেড় নিয়ে ঘুরছিলেন ,পুরোদিন ঘুরতে ঘুরতে গৌতম বুদ্ধের জল পিপাসা পেয়ে গেলো ,জল পিপাসা এতই বেড়ে গেলো যে তিনি আর সহ্য করতে পড়তে ছিলেন না । তাই তিনি তার একজন শিষ্য কে ডেকে বললেন যে তার অনেক পিপাসা পেয়েছে তাই তার জন্য জল আনার জন্য । শিষ্য গুরুর আদেশে জল আনার জন্য গ্রামের ভিতরে গেলো ,গ্রামের মধ্যে দিয়ে একটি নদী বইছিল । কিন্তু সেই নদীতে গ্রামের সবাই কাপড় ধুইছিলো ,কেউ গরু ,মহিষ কে স্নান করাচ্ছিল ,তাই নদীর জল অপরিস্খার ছিল ,তাই শিষ্য চিন্তা করলো এই জল তো অপররিস্খার তার গুরুদেবের জন্য এই  অপরিস্খার জল নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না ,তাই শিষ্য জল না নিয়ে খালি হাতে চলে গেলো ,গৌতম বুদ্ধা যখন শিষ্য কে খালি হাথে চলে আসতে দেখেন তখন খালি হাতে আসার কারণ জিগ্গেস করেন ,তখন শিষ্য পুরো কাহিনী বলেন ।  এইদিকে গুরুদেবের পিপাসাতে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ,গৌতম বুদ্ধা তখন আরেকজন শিষ্যকে জল আনার জন্য বলেন তখন সেই শিষ্য একটি   মাটির পাত্রতে পরিস্খার জল নিয়ে আসে ,তা দেখে গৌতম বুদ্ধা অভাক হয়ে গেলেন এবং এব...

গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণার কাহিনী । জীবন বদলে দেবে এই কাহিনী

  এক গরিব দুঃখী বেক্তির জীবন পরিবর্তনের কাহিনী ।.   আমরা জীবনে এই নিয়ে দুঃখিত থাকি যে  ইহার কারণ কি ?আমরা সবাই এটাই সবসময় মনে করে থাকি ,আমি  অন্যদের থেকে অনেক দুঃখিত ,অনেক কষ্ট করছি ,জীবনে কষ্ট সবচেয়ে বেশি আমার । অন্যরা আমার থেকে অনেক সুখে আছে ,শান্তিতে আছে , কিন্তু আমাদের এই চিন্তা ভুল । ভগবান আমাদের জন্মের সাথে সাথে জীবনে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন । ভগবান গৌতম বুদ্বের এই গল্প থেকে বুজতে পারবো । গৌতম বুদ্ধ  একবার  তার শিষ্যদের সাথে একটি গ্রামে গিয়েছিলেন । সেই গ্রামের লোকেরা তাদের সমষ্যা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের কাছে যেত এবং তাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফায়ার যেত । ওই গ্রামের রাস্তার ধরে একটি লোক বসে থাকতো এবং গৌতম বুদ্বের কাছে আসা প্রতিটি লোককে খুব মনোযোগ সহকারে  লক্ষ্য  করতো , সে এটা দেখে খুব অবাক হতো যে লোকতো  আসে অনেক মন খারাপ নিয়ে , কিন্তু যখন তারা গৌতম বুদ্ধের দর্শন করে ফিরত তারা অনেক খুশি থাকত , এবং মুখে থাকতো একটা হাসি ।  তাই গরিব ব্যক্তিটি মনে মনে ভাবলো যদি আমিও আমার সমস্যার কথা গৌত...