সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

বিফলতা থেকেই শিক্ষা নেওয়া উচিৎ


ভগবান কৃষ্ণ বলেছিলেন ব্যর্থ কোনো দুঃখের কথা নয় ।ব্যর্থ হয়েও সেই পথ ছেড়ে না দিয়ে ,সেই ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নাও ,নিজের ভুল ,এটি ,গুলিকে বুজো ,সংসুদন করে সফলের পথে এগিয়ে চলো।

                           বিফলতা থেকেই  শিক্ষা নেওয়া উচিৎ
                                                       
কোনো কাজে বের্থ না হলে সফল হওয়া যায় না । ব্যর্থতা হ'ল সাফল্যের আসল পথ-নির্দেশক।
ব্যর্থতা আমাদের ভুলগুলি সংশোধন করার জন্য এবং কীভাবে আমাদের প্রচেষ্টাটিকে সঠিক দিকে ক্লাব করতে হয় তা আমাদের জানায় যাতে আমরা একদিন ইতিবাচকভাবে সাফল্য পাই।ব্যর্থতা এবং সাফল্য দুটি আন্তঃসংযুক্ত ঘটনা যা মানব জীবনের বৈশিষ্ট্যকে চিহ্নিত করে।
মানব জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি অবিচ্ছিন্ন অগ্রগতি। মানুষ তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করে। স্পষ্টতই, যখন কেউ তার শিক্ষাব্যবস্থা শুরু করেন, তখন তিনি তথ্য শিখতে পারবেন না এবং তার জ্ঞানের দ্রুত বিকাশ করতে পারবেন না। এমন অনেক ব্যর্থতা এবং জটিলতা থাকবে যা তরুণদের কাছে অসহনীয় বলে মনে হতে পারে। তবুও, প্রত্যেকে তার প্রাথমিক দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেবে এবং তার শিক্ষাব্যবস্থায় সফল হবে।



তিটি সফল মানুষ কিছু সময় ব্যর্থ হয়। ব্যর্থতা - আপনাকে আপনার দুর্বলতাগুলি, ত্রুটিগুলি, প্রস্তুতির অভাব, প্রচেষ্টার অভাব সম্পর্কে আপনাকে জানায় যাতে আপনি যদি ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিতে সক্ষম হন তবে আপনি অবশ্যই যেখানে পৌঁছতে শুরু করেছিলেন সেখানে পৌঁছে যাবেন। ভুল করা কোনও অপরাধ নয়, এ থেকে শেখার ক্ষমতা স্থায়ী সাফল্যে অবদান রাখে |




ব্যর্থতা’ মানে প্রস্তুতির অভাব, প্রতিযোগিতার অভাব, জিনিসগুলি সঠিকভাবে বিশ্লেষণের অভাব। ব্যর্থতা কেবল আমাদের জানায় না যে আমরা সাফল্যের স্তর পর্যন্ত নিজেকে প্রস্তুত করতে পারি না এবং আমাদের ত্রুটিগুলি প্রকাশ করতে পারি না, আরও শ্রম দিয়ে এবং আরও কঠোর পরিশ্রম করে আরও প্রস্তুতি নিয়ে আবার চেষ্টা করার জন্য আমাদের উত্সাহ দেয় |
                                                              


যারা বার বার জীবনে ব্যর্থ হয়েও আবার উঠে দাঁড়ায় তারই জীবনে সাফল্য ল্যাব করে । ব্যর্থতা সেই মিত্র যে আমাদের কে সাফল্য এর রাস্তা পরিষ্কার করে দেয় ,ব্যর্থতা এই আপনাকে সাফল্ল হওয়ার সঠিক শিক্ষা দেবে । এই পৃথিবীতে অনেক সফল মানুষ আছে যারা জীবনে অনেক বার বের্থ হয়েই সাফল্য অর্জন করেছেন ,কারণ ব্যর্থতাই আপনাকে সফল হওয়ার সঠিক শিক্ষা দেবে ,আজ যারা সফল তারা জীবনে অসফল হয়েছেন ,তারা হার মেনে সেই রাস্তা ছেড়ে দেন ,ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সাফল্য লাভ করেছেন ।

টমাস আলভা এডিশন যদি হার মেনে তার পরীক্ষা ছেড়ে দিতেন তা আজ আমরা অন্ধকারে দিন যাপন করতাম ,তিনি তার বাল্ব আবিষ্কারের পরীক্ষাতে ৯৯৯৯ বার বিফল হয়েছেন তবুও তিনি হার মানেন নি ।
                                                                
        বিফলতা থেকেই  শিক্ষা নেওয়া উচিৎ

রাইটস ব্রাদার যদি বিফল হয়ে তাদের পরীক্ষা ছেড়ে দিতেন তা হলে ,আজ আমরা উড়োজাহাজে ব্রাহ্মণ করতে পারতাম না

        বিফলতা থেকেই  শিক্ষা নেওয়া উচিৎ
ব্যর্থ হও কিন্তু কিন্তু সেই পথ ছেড়ে না দিয়ে ,ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সফলের পথে এগিয়ে চলো 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রেরণার গল্প , কৃষকের অলস তিন ছেলে |Motivational Story in Bengali ,Farmer's lazy three sons

একটি গ্রামে এক কৃষক ছিল । সে মধ্যবিত্ত ছিল ,মধ্যবিত্তি হলেও সে অনেক প্ররিশ্রমী ছিল । সে প্ররিশ্রম করতে ভালোবাস্তো ।ঘরে বসে থাকতে চাইতো না । অলসভাবে বসে থাকতে সে ঘৃণা করতো । কৃষকের স্ত্রী - সেও খুব পরিশ্রমী । দিনরাত স্বামীর সংগে সে পরিশ্রম করে । এমন করে দিন যায় । কৃষকের তিন পুত্র । কিন্তু তিনটি পুত্র হলো খুব অলস । খায় - দায় ,গল্প করে ,গান গায় ঘুরে বেড়ায় - কারও কাজে মন নেই এতটুকু । কৃষক তাদের কাজ শেখালো । কি করে মাটি কুপাতে হয় ,মোই দিতে দিতে হয় , চাষ করতে হয় , বীজ বুনতে হয় ,সব শিখলো তারা । কিন্তু কেউ কাজ করতো না । তারা জানতো সব, কিন্তু করতো না কিছু । গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াতে তারা খুব ভালোবাসে । একদিন কৃষক গিন্নি কৃষকে বললো - শুনছ  গো ?- কি বলছো ? দেখছো ছেলেদের কান্ড ? হ্যাঁ ।  ছেলেরা ওরকম কুরে হলে তো দুদিনে বসে খেয়ে সব উড়িয়ে দেবে । তারপর কি হবে ? কৃষক চুপ করে রইলো । কিছুক্ষণ পরে শুধু একটু হেসে বললো - ঠিক সময়ে সব ঠিক হয়ে যাবে । এমন হবে দিন যায় । কৃষক গিন্নি স্বামীর কোথায় চুপ করে থাকে ।  দেখতে দেখতে কৃষক বৃদ্ধ হয়ে পড়লো । তখন সে একদিন স্ত্রীকে ডেকে বললো -...

অনুপ্রেরণামূলক গল্প গৌতম বুদ্ধ Inspirational Story Gautam Buddha

একবার গৌতম বুদ্ধ ,বুদ্ধ ধর্মের শিক্ষা প্রচারের জন্য গ্রাম গ্রাম শহর শহর নিজের শিষ্য দেড় নিয়ে ঘুরছিলেন ,পুরোদিন ঘুরতে ঘুরতে গৌতম বুদ্ধের জল পিপাসা পেয়ে গেলো ,জল পিপাসা এতই বেড়ে গেলো যে তিনি আর সহ্য করতে পড়তে ছিলেন না । তাই তিনি তার একজন শিষ্য কে ডেকে বললেন যে তার অনেক পিপাসা পেয়েছে তাই তার জন্য জল আনার জন্য । শিষ্য গুরুর আদেশে জল আনার জন্য গ্রামের ভিতরে গেলো ,গ্রামের মধ্যে দিয়ে একটি নদী বইছিল । কিন্তু সেই নদীতে গ্রামের সবাই কাপড় ধুইছিলো ,কেউ গরু ,মহিষ কে স্নান করাচ্ছিল ,তাই নদীর জল অপরিস্খার ছিল ,তাই শিষ্য চিন্তা করলো এই জল তো অপররিস্খার তার গুরুদেবের জন্য এই  অপরিস্খার জল নিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না ,তাই শিষ্য জল না নিয়ে খালি হাতে চলে গেলো ,গৌতম বুদ্ধা যখন শিষ্য কে খালি হাথে চলে আসতে দেখেন তখন খালি হাতে আসার কারণ জিগ্গেস করেন ,তখন শিষ্য পুরো কাহিনী বলেন ।  এইদিকে গুরুদেবের পিপাসাতে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ,গৌতম বুদ্ধা তখন আরেকজন শিষ্যকে জল আনার জন্য বলেন তখন সেই শিষ্য একটি   মাটির পাত্রতে পরিস্খার জল নিয়ে আসে ,তা দেখে গৌতম বুদ্ধা অভাক হয়ে গেলেন এবং এব...

গৌতম বুদ্ধের অনুপ্রেরণার কাহিনী । জীবন বদলে দেবে এই কাহিনী

  এক গরিব দুঃখী বেক্তির জীবন পরিবর্তনের কাহিনী ।.   আমরা জীবনে এই নিয়ে দুঃখিত থাকি যে  ইহার কারণ কি ?আমরা সবাই এটাই সবসময় মনে করে থাকি ,আমি  অন্যদের থেকে অনেক দুঃখিত ,অনেক কষ্ট করছি ,জীবনে কষ্ট সবচেয়ে বেশি আমার । অন্যরা আমার থেকে অনেক সুখে আছে ,শান্তিতে আছে , কিন্তু আমাদের এই চিন্তা ভুল । ভগবান আমাদের জন্মের সাথে সাথে জীবনে ভালো ভাবে বেঁচে থাকার জন্য যা প্রয়োজন সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন । ভগবান গৌতম বুদ্বের এই গল্প থেকে বুজতে পারবো । গৌতম বুদ্ধ  একবার  তার শিষ্যদের সাথে একটি গ্রামে গিয়েছিলেন । সেই গ্রামের লোকেরা তাদের সমষ্যা নিয়ে গৌতম বুদ্ধের কাছে যেত এবং তাদের সমস্যার সমাধান নিয়ে হাসি মুখে বাড়ি ফায়ার যেত । ওই গ্রামের রাস্তার ধরে একটি লোক বসে থাকতো এবং গৌতম বুদ্বের কাছে আসা প্রতিটি লোককে খুব মনোযোগ সহকারে  লক্ষ্য  করতো , সে এটা দেখে খুব অবাক হতো যে লোকতো  আসে অনেক মন খারাপ নিয়ে , কিন্তু যখন তারা গৌতম বুদ্ধের দর্শন করে ফিরত তারা অনেক খুশি থাকত , এবং মুখে থাকতো একটা হাসি ।  তাই গরিব ব্যক্তিটি মনে মনে ভাবলো যদি আমিও আমার সমস্যার কথা গৌত...